স্বাধীনতাকে জিজ্ঞেস করি, না দেখা তুমিকে কীভাবে জানব?উত্তর এলো, ইতিহাসের বুকে আমার সোনালি পদচিহ্ন আঁকা, খুজে দেখো, জানতে পারবে।আমাদের প্রজন্ম কখনো দেখেনি ৫০ বছর আগের সেই কঠিন সংগ্রাম কে। জানার একটাই উপায় ইতিহাস পঠন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি, স্বাধীনতার এই ৫০ বছর পর ও বাংলার বুকের অনেক শিশু বঞ্চিত সেই ইতিহাস জানতে, বুঝতে, ধারণ করতে নিজের বুকে এবং সেই চেতনায় এগিয়ে যেতে। তাদের একটাই দুর্বলতা, সেটা হচ্ছে দারিদ্র্যতা। কিন্তু এই দেশের নাগরিক হিসেবে এটা তাদেরও অধিকার দেশকে জানা, দেশের ইতিহাসকে নিজের মধ্যে ধারণ করা। সেই চাহিদা থেকেই এইচ টি এফ পরিবার এর নতুন উদ্যোগ, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভ্রমণ। সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা আমদের সমাজে অবহেলিত। ভালো কিছু জানা বা শেখা করা তাদেরও মৌলিক অধিকার এবং আমরাই তাদের সুযোগ প্রদানের মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করতে পারি।মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের দূর্লভ প্রদর্শনী দেখে শিশুরা জানতে পেরেছে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ইতিহাস,কিভাবে মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মেছিল স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।এই অভিজ্ঞতা তাদের মানসিক বিকাশ ঘটাবে যা তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়ক।তারপর তাদেরকে সবাইকে নিয়ে একসাথে এইচ টি এফ পরিবার একটি মনোরম মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করে। সব শেষে তাদের কে তাদের বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়, তাদের মাঝে দেশের আদি থেকে আজ অব্দির ইতিহাসকে ধারণ করিয়ে। শুরু থেকে শেষ অব্দি তাদের চোখের ঝলক ছিল দেখার মত! আজ আমরা পেয়েছি ১০ জন শিশুকে জানাতে, শেখাতে। আগামীতে আরও ১০ জনকে শেখাবো, জানাব ইতিহাসের আগাগোড়া। আর এই শিক্ষা যারা পাচ্ছে, তারাও আগ্রহ ভরে জানাবে তাদের বন্ধুবান্ধব, পরিবারবর্গ কে। ভেবে দেখুন, স্বাধীনতার চেতনাকে মানুষের মাঝে সত্যিকার অর্থেই ছড়িয়ে দেওয়া কিন্তু এতও কঠিন নয় আমাদের জন্য। বরং এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের এটা দায়িত্ব, পরবর্তী প্রজন্মকে এ সম্পর্কে সঠিক তথ্য গুলো জানানো। এভাবে বদলে যেতে পারে বাংলাদেশ। কোন কিছুই অসম্ভব নয়।